Published : 25 May 2025, 06:55 PM
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় শোক আর শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হল থাইল্যান্ডের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ হাসানকে।
রোববার সকাল ৯টায় উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের চেউয়াখালী বাজার-সংলগ্ন তরিকউল্যাহ সমাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মোহাম্মদ হাসান লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার টুমচর গ্রামের প্রয়াত মোহাম্মদ সেলিমের একমাত্র ছেলে। ১০ বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর হাসানের মা মাহিনুর বেগম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নে হাসানের নানার বাড়িতে।
গত বছরের ৪ অগাস্ট ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের টাইগারপাসে গুলিবিদ্ধ হন হাসান। তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৪ নভেম্বর তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে হাসান মারা যান।
এর আগে ভোরে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
জানাজায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আসফার সায়মা, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ হাসানের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাকে জানানোর অনুরোধ করেন।