Published : 01 Sep 2022, 04:37 PM
ডাকাতির পরিকল্পনা করে রাজশাহীর তানোরে একটি নির্মাণাধীন প্রকল্পের পাশে থাকা এজেন্ট ব্যাংকের শাখায় ঢুকে নগদ টাকা না পেয়ে মালামাল লুট করেছিলেন তিন নির্মাণ শ্রমিক, পাঁচ দিন পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তারা।
তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, গত ২৬ অগাস্ট রাতে উপজেলার বিল্লি বাজার এলাকার ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার মালামাল লুট হয়। ওই ঘটনায় মামলার পর অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন রাজমিস্ত্রি সজল আলী (২২) ও কিরণ আলী (২২)। দুজনই রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল্লী এলাকায় একটি সরকারি প্রকল্পে কাজ করছিলেন; থাকতেন সেখানেই।
প্রকল্পের নির্মাণ সাইটের পাশেই এক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা রয়েছে। এজেন্টের বাড়িও বেশ দূরে। আবার একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকা বলে সন্ধ্যা নামলেই নিঝুম হয়ে যায় চারপাশ।
এসব মাথায় রেখেই ওই এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা লুটের পরিকল্পনা সাজান সজল ও কিরণ। পরে গভীর রাতে সাইট থেকে লোহা কাটার যন্ত্র নিতে গেলে তাদের দেখে ফেলে কিশোর বয়সী এক সহকর্মী। তাই তাকে সঙ্গে নিয়েই ব্যাংক লুটে নেমে পড়েন দুই যুবক।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, গত শুক্রবার রাতে ওই ব্যাংক শাখায় হানা দেয় তিনজন। কিন্তু কোনো টাকা পয়সা না পেয়ে সেখান থেকে ২১টি এটিএম কার্ড, বিভিন্ন দেশের কিছু নোট, কিছু চেক বই, কম্পিউটার সামগ্রী, ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্তের যন্ত্র নিয়ে যান তারা।
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে তানোর থানায় মামলা করেন ব্যাংকের এজেন্ট সেফাউর রহমান। রাতেই আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের অবস্থানও নিশ্চিত হয়।
প্রথমে চারঘাটের চন্দনশহর এলাকার বাড়ি থেকে সজল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই রাতেই উপজেলার মেরামতপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন কিরণ আলী।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার পিরোজপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের সঙ্গী কিশোরকে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া মালামালও উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, “গ্রেপ্তার সজল ও কিরণের পরিকল্পনায় এই কাণ্ড। উদ্দেশ্য জেনে যাওয়ায় পরে ওই কিশোরকে সঙ্গে নেয় তারা।”
গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি।