Published : 15 May 2025, 09:36 PM
পাবনার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে এ ঘটনা ঘটে বলে আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান।
এ সময় উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলমের নিজস্ব কার্যালয় ভেঙে দিয়েছে জমায়াতের কর্মীরা।
ওসি শফিকুজ্জামান সরকার বলেন, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র জামায়াতের লোকজন প্রথমে বিএনপির লোকজনকে মারপিট করেন।
এ নিয়ে শুরু হয় দুই পক্ষের বড় ধরনের সংঘর্ষ; এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ওসি বলেন, “আহতদের আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এসে দুই পক্ষকে শান্ত করি, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা কমিটির সহ সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আমিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির লোকজনের কথা মত মনোনয়নপত্র দেয় না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পরে তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও জামায়াত নেতাদের কলেজের ভেতরেই মারপিট করেন।
এর প্রতিবাদে অভিভাবকরা ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, “তখন আজান হওয়ায় মসজিদে আসরের নামাজের পড়তে যান তারা। বিএনপির লোকজন মসজিদ লক্ষ্য করে গুলি ও হাত বোমা ছুড়লে নামাজ শেষে লোকজন প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এসময় বিএনপির লোকজন আবারও হামলা চালায়।”
এতে তাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে দাবি আমিরুল ইসলামের।
তিনি বলেন, নামাজে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ লোকজন বিএনপির সদস্য সচিব আলমের কার্যালয় ভাঙচুর করেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম বলেন, “পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করতেই সংঘবদ্ধভাবে জামায়াতের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ১৫ জনের মত লোক আহত হয়েছেন। তারা আমার বিএনপি অফিস ভাঙচুর করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
তবে মসজিদে গুলি ও হাত বোমা নিক্ষেপের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।