Published : 25 Aug 2024, 10:14 AM
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে বা জলকপাট।
যার কারণে ভাটি অঞ্চলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার সকাল ৮টায় জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত কবির।
তিনি বলেন, “শনিবার রাত ১০টায় পানির ইনফ্লো প্রত্যাশামতো না থাকায় গেট খোলা হয়নি, তার পরিবর্তে সকাল ৮টায় খোলার সিদ্ধান্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে সকালে গেটগুলো ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়েছে।
“এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার সিএফএস (কিউবিক ফুট পার সেকেন্ড) পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে বেরিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়বে।”
কয়েক ঘণ্টা খোলা থাকার পর জলকপাটগুলো আবার বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একইসময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রায় ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
এর আগে দেশের বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি আসায় ও বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় শনিবার রাত ১০টায় হ্রদের জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু তখন হ্রদে পানির প্রবাহ কম থাকায় রাতে না খুলে রোববার সকালে জলকপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল), রোববার সকালে পানি ছাড়ার আগ মুহূর্তে এটি ১০৮.৬০ ফুট ছিল বলে জানিয়েছেন সহকারি পরিচালক সাখাওয়াত কবির।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছিলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটির বন্যা নিয়ন্ত্রণে জলকপাট খোলার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পানি ছাড়ার কারণে ভাটি অঞ্চলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এটি একটি খুবই নিয়মিত কাজ এবং হ্রদে পানি বাড়লেই গেট খুলে পানি ছাড়া হয় জানিয়ে এনিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন এই প্রকৌশলী।
পুরানো খবর
কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট রাতে খোলেনি, সকালে খুলবে
কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট রাতে খুলছে, সতর্কতা
কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়লেও ধারণক্ষমতা ছোঁয়নি, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন