Published : 28 Jan 2025, 07:40 PM
দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ে কর্মচারীরা। ফলে পাবনা থেকেও সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বিধি মোতাবেক অর্জিত মাইলেজ (পার্ট অফ পে রানিং এলাউন্স) যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবিতে এই কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মচারীরা।
দাবি বাস্তবায়নে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো সুরাহা না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যান রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
মঙ্গলবার সকালে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে দেখা যায়, কর্মবিরতি খবর না জেনে কিছু যাত্রী স্টেশনে এসেছিলেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় তারা ফিরে গেছেন। এরপর থেকে স্টেশনটিতে সুনসান বিরাজ করছে। তবে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্য জেলা থেকে আসা যাত্রীরা।
চিলাহাটি থেকে সোমবার মধ্যরাতে ট্রেনে করে ঈশ্বরদী এসেছেন দিনমজুর আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, “দিনমজুরের কাজে পোড়াদহ যাব। কিন্তু সকালে স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন বন্ধ। এখন কীভাবে যাব এই চিন্তায় আছি।”
আরেক যাত্রী সবুজ উদ্দিন বলেন, “ট্রেন বন্ধের কথা জানতাম না। সকালে স্টেশনে আসার পর জানতে পারি। ফরিদপুর যাব, এখন ট্রেন বন্ধ থাকলে কি হবে, আমাকে তো যেতেই হবে। বিকল্প কোন গাড়িতে যাব।”
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের বুকিং সহকারী শামীম আহমেদ বলেন, সকাল থেকে অগ্রিম মধুমতি, সাগরদাঁড়ি, ঈশ্বরদী কমিউটার, সিল্কসিটিসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কাটা যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে কর্মকর্তা বা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই। তারা আমাদের দাবি মেনে নিলেই আমরা কাজে যোগ দেব। এ ছাড়া আর কিছু করণীয় নেই।
ঈশ্বরদী জংশন রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শাজাহান আলী বলেন, “স্টেশনের মাইকে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য। কখন ট্রেন চলাচল শুরু হবে আমাদের জানা নেই।”
তবে আগে থেকে এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় স্টেশনে যাত্রীদের কোনো চাপ নেই বলেও জানান তিনি।