Published : 22 Jun 2025, 05:50 PM
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীর চরাঞ্চলে গরু খামারীকে হত্যা ও গরু লুটের ঘটনায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া একটি গরু।
টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর, কালিহাতি ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদরের খয়াপাড়া আব্দুল মালেক (২৮), বেলকুচি উপজেলার মুলকান্দিচরের ইউসুফ আলী (২৮), টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার শামশৈল গ্রামের শাহ আলম (৪০), টাঙ্গাইল সদরের চরকুমলি গ্রামের হাসান মণ্ডল (২৫), একই এলাকার আমির হোসেন (৪৫), ধুলবাড়ি গ্রামের ইসমাইল ব্যাপারী (৫৩) ও ভূঞাপুর উপজেলার ছোট নলছিয়াপাড়ার শাহিদ ওরফে সাঈদ (৪১)।
শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
ওসি একরামুল হোসাইন বলেন, ২০ মে রাতে চৌহালী উপজেলার মুরাদপুর যমুনা নদীর চরে এই হত্যা ও গরু লুটের ঘটনা ঘটে। সেদিন ডাকাত দলের ১০-১২জন সদস্য নৌকায় চরটিতে পৌছে একটি অস্থায়ী গরুর খামারে হানা দেয়।
তারা গো-খামারী তারা মিয়া (৬৫) ও তার নাতি ইব্রাহিম খলিলকে (১৮) হাত, পা, চোখ ও মুখ গামছা ও রশি দিয়ে বেধে ফেলে। এরপর তারা মিয়াকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তিনটি গরু লুট করে নিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে পরের দিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে তারা মিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়।
ওসি একরামুল বলেন, ঘটনার পর থেকে ডাকাতদের শনাক্ত ও আটক কাজ শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। এক পর্যায়ে শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর থেকে লুট হওয়া একটি গরু উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, শনিবার বিকালে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় তারা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওমর ফারুকের কাছে ডাকাতি ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এরপর সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুরানো খবর
যমুনার চরে কৃষককে হত্যা-নাতিকে বস্তায় ভরে গরু নিয়ে গেল ডাকাতদল