Published : 25 Jun 2025, 09:22 PM
মাদারীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কর্মী সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বুধবার বিকালে শহরের বাদামতলা এলাকায় ভূঁইয়া কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
আহত মাসুম বিল্লাহ মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকালে ভূঁইয়া কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এ সময় এনসিপির মাদারীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মোহাম্মাদ হাসিবুল্লাহর পক্ষের লোকজন হাতুড়ি ও দেশি অস্ত্র দিয়ে মাসুম বিল্লাহ পিটিয়ে আহত করেন।
তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়া ইসলাম বলেন, “যার হাত ধরে এই জেলায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। আজ তার ওপরই হামলা হল। যারা হামলা করছে তারা আমাদের সহযোদ্ধা না। তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী।
“তা না হলে আমরা শিক্ষার্থী, আমাদের হাতে থাকবে কলম, অস্ত্র থাকবে কেন? আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
এনসিপির মাদারীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নেয়ামত উল্লাহ বলেন, “হামলাকারীরা একদল সন্ত্রাসী। তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নানাভাবে এনসিপিতে যোগদান করেছে। তাই আমরা ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করি।
“তারা দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ খুঁজছিল এবং হাত-পা কেটে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। তারা একটা কিলিং মিশনে নেমেছে। যদি এই সন্ত্রাসীরা বাহিরে থাকে তাহলে আমরা বাঁচতে পারব না। তারা ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও এনসিপির পক্ষে না।”
হামলার অভিযোগের বিষয় জানতে এনসিপি নেতা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।