Published : 10 Dec 2024, 09:39 PM
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১১ বছর পর কবর থেকে মতিউর রহমান ওরফে সজীব নামের এক শিবিরকর্মীর লাশ (হাড়গোড়) উত্তোলন করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিনের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সজীবের মরদেহ তোলার পর তা ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সজীব বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়েতের আমির বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন।
ওসি গাজী মুহাম্মদ বলেন, “আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সজীবের মরদেহ তোলা হয়। এ সময় কবরে বুলেট সাদৃশ্য একটি বস্তু পাওয়া যায়। পরীক্ষার পর বলা যাবে এটি বুলেট কি-না।”
উপজেলা জামায়েতের আমির অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন বলেন, “২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সামনে জামায়েত ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করে ৭ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়।
“এ ঘটনার ১১ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর নিহত মতিউর রহমান সজীবের পরিবারের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে আবেদনটি কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলায় রেকর্ড করা হয়।”
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামান, কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপ পরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাও এ মামলার আসামি বলে জানান বেলায়েত হোসেন।
লাশ তোলার সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মঈনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।