Published : 20 Jun 2024, 08:09 PM
দেশে প্রতিবছর উৎপাদিত চালকে চিকন করতে গিয়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন কমে যায় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, “দেশে প্রতিবছর চার কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। এই ধান থেকে উৎপাদিত চাল চকচক করার জন্য পাঁচবার পলিশ করা হয়। এতে করে চার থেকে পাঁচ শতাংশ চাল ওজনে কমে যায়। ফলে বছরে ১৬ লাখ টন চাল কমে যায়।
“যদি দুইবার পলিশ করা যায়- তাহলে চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি লোকসান কমবে। এ ছাড়া চাল উৎপাদনে খরচ কমার ফলে ভোক্তারা আরও কম দামে চাল পাবেন।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের পুরনো খাদ্যগুদামের ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, সম্প্রসারণ এবং প্রতিস্থাপন (বিএমআরই) কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “হঠাৎ করেই যখন চালের দাম বাড়ে তখন খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, মিল মালিকরা দাম বেশি নেয়। এজন্য তাদেরকে দাম বাড়াতে হয়। ভোক্তাদের সুবিধার্থে এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত, ওজন, উৎপাদনের তারিখ এবং মিলগেইটে কত দাম- সেটি লিখতে হবে। যাতে করে খুচরা ব্যবসায়ী না বলতে পারেন যে, তারা বেশি দামে কিনেছেন।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় আরও বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।