Published : 26 Oct 2023, 07:36 PM
ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে আশঙ্কার চেয়ে বাস্তবে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কক্সবাজারের প্রকৃতির ওপর ব্যাপক ক্ষত রেখে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “কক্সবাজারের ৪০ হাজার মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষে যা যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে। জেলা প্রশাসক এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে সহায়তার যে চাহিদা পাঠিয়েছে তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রকৃত তালিকা তৈরির পর পূর্ণাঙ্গ সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, “তাণ্ডবের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ আছে। এতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে গেছে। যার কারণে ভোগান্তি বেড়েছে অনেক। অথচ মোবাইল ফোনের কোম্পানিগুলো টাওয়ারে নিজস্ব জেনারেটর রাখার কথা। এটা না রাখা দুঃখজনক।”
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, নুনিয়ারছড়া ও সদরের নিকটবর্তী খুরুশকুল ইউনিয়ন, মহেশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ ও ঢেউটিন বিতরণ করেন।
সকালে জেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার নয় উপজেলার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ৩৮ হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ৫ লাখ মানুষ।
আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড়: কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত পৌনে পাঁচ লাখ মানুষ, প্রায় ৩৮ হাজার বাড়ি
ঘূর্ণিঝড়: কক্সবাজার শহরে ‘১৫ হাজার’ ঘরবাড়ির ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত কক্সবাজার, এখনও বিদ্যুৎহীন, ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন’
তাণ্ডব চালিয়ে মৃত্যু ঘটিয়ে শান্ত হল ‘হামুন’