Published : 24 Aug 2024, 12:27 PM
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দেশের অন্যতম সেচ প্রকল্প মেঘনা ধনাগোদা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামতে কাজ করেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পদ্মা-মেঘনার পানি বৃদ্ধি ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এই বাঁধের বহু অংশে ফাটল ও বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়ে। মতলব সেতু থেকে শুরু করে মোহনপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে বাঁধে দেখা গেছে অসংখ্য গর্ত ও ফাঁটল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর দেওয়া হলে বাঁধের নদী পাড় এলাকায় কিছু কাজ শুরু করলেও মূল বাঁধে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন বাঁধের জনতা বাজার, আমিরাবাদ বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নদী পাড়ে কিছু বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলছেন।
বিপরীতে মতলব সেতু থেকে শুরু করে মোহনপুর পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি স্থানে বাঁধের মূল সড়কের ফাটল ও ধসে পড়া স্থান সংস্কারে কাজ করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মতলব উত্তর উপজেলা শাখা ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা।
ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা নিজ উদ্যোগে বাঁধ মেরামত কাজ করছি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ আমাদের সহায়তা করলে কাজগুলো আর মজবুত হত।”
স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাঁধে কাজ করা মো. মানিক বলেন, “টানা বৃষ্টিতে বাঁধের সড়কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। সড়ক বিভাগ এগিয়ে না আসায় আমরাই আপাতত মেরামতের কাজ শুরু করেছি।”
আলোকিত মতলব সংগঠনের সদস্য জাহিদ হোসেন জুয়েল বলেন, “সদস্যদের নিজস্ব অর্থয়ানে আমরা সড়ক মেরামত কাজ করছি। পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ কাজ করবে। বৃষ্টিতে যাতে সড়ক ও বাঁধের বড় ধরনের ক্ষতি না হয় সে জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।”
এদিকে আমিরাবাদ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ধনাগোদা নদীর চরমাছুয়া এলাকায় চর থাকায় পানি বাঁধের মধ্যে এসে চাপ দেয়। চরের সামনের অংশ মাটি কেটে দিলে বাঁধ অনেকটা ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবে।
চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ হোসেন বলেন, “এই বাঁধের সড়ক হচ্ছে ৬৪ কিলোমিটার। আমরা আজ (শনিবার) থেকে কাজ শুরু করেছি। কাজের গতি আরও বাড়ানো হবে।
মেঘনা ধনাগোদা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্তু পাল বলেন, “বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আমরা ডাম্পিং এবং বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ফেলা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। সড়কের বিষয়টি সড়ক বিভাগই মেরামত করবে।”