Published : 02 Jun 2024, 07:37 PM
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির গালমন্দের অভিযোগে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রোববার উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চল।
বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক জিএম আরিফ বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চল বিদ্যালয়ে এসে ইংরেজি বিষয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চান। এ বিষয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালাগাল করেন।”
এ সময় প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরী সভাপতিকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তাকেও গালাগাল করেন বলে অভিযোগ শিক্ষক আরিফের।
জিএম আরিফ আরও বলেন, “বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেন। আমরা বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।”
তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চল বলেন, “প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরী দীর্ঘদিন ধরে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। আমি সভাপতি হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করি। ফলে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছেন।”
প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ তার কাছে আছে বলেও দাবি করেন সভাপতি।
প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরী বলেন, “আমি কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নেই। সভাপতি কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চল আমিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের গালাগালি করার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে।”
প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চলে যাওয়ায় তারাও বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি চলে যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক নূর আলম বলেন, “বিদ্যালয়টিতে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
“এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”