Published : 01 Jun 2025, 08:22 PM
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন ও সংশোধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আসাদ উদ দৌলা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নামকরণ করা তিনটি হলের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। আর বিএনপি আমলে করা তিনটি হলের, যেগুলোর নাম আওয়ামী লীগের আমলে পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেগুলো আবার পুনর্বহাল করা হয়েছে।
সিলেট ভেটেরিনারি কলেজ নামে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।
কলেজ থাকাকালীন সময়ে এম সাইফুর রহমান হল, শহীদ জিয়া হল ও দুরের সামাদ রহমান হল ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এসব হলের নাম পরিবর্তন করে। তারা তিনটি হলেন নামকরণ করে- শাহ এ এম এস কিবরিয়া হল, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী হল ও সুহাসিনী দাস হল।
সেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিএনপি আমলে করা নামকরণ পুনর্বহাল করা হয়েছে। ফলে পুরনো নামে ফিরেছে- এম সাইফুর রহমান হল, শহীদ জিয়া হল ও দুরের সামাদ রহমান হল।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, আব্দুস সামাদ আজাদ হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
এই হলগুলোর নতুন নামকরণ করা হয়েছে যথাক্রমে- হযরত শাহজালাল (রহ.) হল, জেনারেল এম এ জি ওসমানী হল ও সুহাসিনী দাস হল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিঠিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত সিকৃবির ছাত্র-ছাত্রীদের জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর নাম পরিবর্তন ও সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশ এবং ৪৮তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নাম পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়েছে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং সিন্ডিকেটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কলেজ আমলের প্রতিষ্ঠিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে নামকরণ করা হলসহ ভেটেরিনারি কলেজ ও সিকৃবির স্বপ্নদ্রষ্টা সাবেক সফল মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান ও তার সুযোগ্য সহধর্মিণীর নামে প্রতিষ্ঠিত হলের নাম পরিবর্তন করে।
“দীর্ঘ ১৬ বছর পর তাদের নামে প্রতিষ্ঠিত হলের নাম পুনর্বহাল করাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ও দুর্নীতিবাজদের নামে নামকরণ করা হলগুলোর নাম পরিবর্তন করে সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নামে হলগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।”