Published : 26 Sep 2024, 07:33 PM
ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে কমেছে ইলিশের দাম। তাৎক্ষণিক প্রতিকেজি ইলিশ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযানে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান ফরিদপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ।
তিনি জানান, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের পর কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমেছে ইলিশের দাম।
অস্থির হয়ে ওঠা ডিমের ও ইলিশের দাম সহনীয় পর্যায়ে ফেরাতে শহরের হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজারসহ বিভিন্ন বাজার তদারকি করা হয় বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের সোহেল শেখ।
তিনি বলেন, অভিযানে ইলিশের আড়তে পাকা ক্রয় রসিদ না থাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেশি নেওয়ার দায়ে ‘বিমল দত্ত মৎস্য আড়তের’ মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডিমের দামে কারসাজি, ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ না থাকা, মূল্য তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করায় বাদশা মিয়া ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের ফলে ইলিশের দাম প্রকারভেদে ১৪০০ টাকা থেকে কমে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে যায়। পাকা ভাউচার সংরক্ষণ এবং ইলিশের বাজারে সিন্ডিকেট যেন না হয়, এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানের আগে এ বাজারে ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১৪০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
অভিযানে সহযোগিতা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা।