Published : 11 May 2025, 04:44 PM
ফেনীর পরশুরামে কলাগাছ কাটা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক যুবলীগ নেতা পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম।
নিহত মোহাম্মদ উল্যাহ (৫০) পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর টেটেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় খণ্ডল হাই বাজারের ব্যবসায়ী ও বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
গত ৫ মে কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
নিহতের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, জমি থেকে কলাগাছ কাটা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ-ঝগড়া হয়েছিল। পরে ৫ মে সকালে দেবর ও পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করে।
কিন্তু এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাদের হাতে থাকা লাঠি-সোঠা, দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, দা, লাঠি দিয়ে স্বামী মোহাম্মদ উল্যাহকে এলোপাথাড়ি মারধর করে জখম করে। এতে তার মাথার মধ্যেভাগের হাঁড় ভেঙে যায়।
এ ঘটনায় আহত মোহাম্মদ উল্লাহকে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে পাঁচদিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদ উল্লাহর ভাই আবদুর রহিম জানান, “জায়গা আমাদের। সে জায়গা থেকে আমরা কলাগাছ কেটেছি। কিন্তু সামান্য একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
“দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।"
এদিকে পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, স্বামীর ওপর হামলার ঘটনায় হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মামলা করেছিলেন। এখন তা হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে।
মামলায় দক্ষিণ টেটেশ্বর গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (২৭), আরব আলীর ছেলে শুকুর আলী (২২), মো. বাদশা (২৫), সুলতানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৪) ও উত্তর টেটেশ্বর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আট জনকে আসামি করা হয়।
তবে ঘটনার পরপরই আসামিরা ঘর-বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি হাকিম জানান, এর মধ্যে শনিবার আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।