Published : 23 Sep 2024, 06:36 PM
পায়রা সমুদ্র বন্দরে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে তা তার নিজস্ব গতিতেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, “এ ছাড়া বন্দরের সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”
সোমবার দুপুরে দুই দিনের বিশেষ সফরে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন উপদেষ্টা।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই মন্তব্য করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এইখানে (বন্দরে) কোনো কাজ বন্ধ হবে না। এখানে যেসব প্রকল্প আছে তা আস্তে আস্তে করা হবে। আস্তে করলেই পর্যায়ক্রমে এর সমাধান হবে। এটা অর্থনৈতিক বিষয়, রাজনৈতিক কোনো বিষয় না।
“যেখানে জেটি করা হয়েছে, সেখান পর্যন্ত তো জাহাজটি নিয়ে আসতে হবে। তাই নদীকে বা চ্যানেলকে পরিষ্কার রাখতে হবে। জাহাজ নিয়ে আসতে হলে ৬০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পরিষ্কার রাখতে হবে। এরই মধ্যে ১০ মিটার ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং করে ফেলেছেন। ১০ মিটার মাটি তোলা হয়ে গেছে। এখন চ্যানেলকে পরিষ্কার রাখতে হলে প্রতিবছর ড্রেজিং করতে হবে। এই ড্রেজিং খরচ কমাবার জন্য পোর্ট অথরিটি নিজেরা ড্রেজার কিনেছেন। তাতেও খরচ কমছে না। তাই আগামী মাসের মধ্যে দেখবেন টেন্ডার হবে, যেটা ওপেন টেন্ডার।”
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ সরকার বিদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে, তার মধ্যে থেকে ২০-৩০ শতাংশ পায়রা বন্দরের মাধ্যমে করা যায় কিনা, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে করে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চাপ কমবে।”
এর আগে রোববার তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক, প্রকল্প পরিচালক কমোডোর রাজিব ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।