Published : 04 Jun 2025, 02:45 PM
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও আরিচা এবং পাবনার কাজিরহাট নৌপথে যাত্রী ও পশুবাহী যানবাহন পারাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
এর মধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পাঁচটি ফেরি ও ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। এ ছাড়া মহাসড়ক ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে থাকবে সেনা সদস্যরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাম হোসেন বলেন, “ঈদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নয়টি রো রো (বড়), তিনটি মিডিয়াম ও পাঁচটি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি প্রস্তুত রেখেছি।
“এ ছাড়া পশুবাহী ট্রাকগুলো যাতে ঘাটে এসে কোনও দুর্ভোগের শিকার না হয়ে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।”
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি এবং আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ বলেন, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে পাঁচটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের মেজর রাফিউল চৌধুরী বলেন, ঈদে সেনাবাহিনী সড়ক ও নৌপথে সাত দিন দায়িত্ব পালন করবে। এ সময় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর নজরদারি চলবে।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন বলেন, “ঈদ উপলক্ষে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকায় পুলিশ, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিবি পুলিশসহ একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া নৌ ও হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।”
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেলক্ষে প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পাটুরিয়া ও আরিচাঘাট এলাকায় ঈদের আগে ও পরে নির্বাহী হাকিম থাকবেন।
এ ছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করবে বলে জানান তিনি।