Published : 26 Mar 2025, 03:11 PM
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনটির দুই নেতা আহতের খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
আহতরা হলেন- ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল আলম সুমন এবং সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন মাতবর। তারা ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে বেদীর কিছুটা সামনেই হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দেলোয়ারকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে দেখা যায়।
কিছুক্ষণ পর স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে আবার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় ঢাকা জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের আরেক নেতা বদরুল আলম সুমনকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
আহত বদরুল আলম সুমন বলেন, “ফুল দেওয়ার সময় বেদীর সামনে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ওখানে তেমন কোনো গ্যাঞ্জাম হয়নি। কিন্তু পরে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
“শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে বিদায় দেওয়ার জন্য তাকে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন স্মৃতিসৌধের মূল গেইটে পেছন থেকে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন বলেন, ‘ওই বদি সুমনরে ধর’। পেছনে তাকাতেই আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।”
এ ঘটনায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা চাওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ করবেন বলে জানান সুমন।
সাভার পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন মাদবর বলেন, “ফুল দেওয়া নিয়ে ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান মোহন ঝামেলা করেছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, “স্মৃতিসৌধে মারামারি হয় নাই। জাস্ট ধাক্কাধাক্কি হইছে। আমরা যারা সিনিয়র ছিলাম পরে সেটা সমাধান করে দিয়েছি। তারপরও আমরা এটা নিয়ে বসব। কারণ সুমন ভাই আমার বড় ভাই। আমরা একসঙ্গে পলিটিক্স করেছি।”
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেন নাই বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন।