Published : 24 Jun 2025, 03:32 PM
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় সম্পত্তির বিরোধের জেরে মাদ্রাসার ছাত্রকে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) এর বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন বলে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (২৮) এবং পাশের পাড়াগাঁও গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৮)।
যাবজ্জীবন রাব্বি হোসেন কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।
মামলার বরাতে আইনজীবী বলেন, উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন চাপাতলী মাদ্রাসা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিলো।
ওই বিরোধের কারণে ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুরে মিলন বাড়ি থেকে পাশের রহিমানগর বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন ৩০ জুন কচুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার ভাই মো. রিপন হোসেন (২৫)।
২ জুলাই স্থানীয়রা শামীমকে আটক করে। পরে সোহাগ ও রাব্বিকেও আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, কান্দিরপাড়ের একটি জলাবদ্ধ জমি থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিলনকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর এই তিনজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রায়ে শামীম ও সোহাগকে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
রাব্বিকে যাবজ্জীবন ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নুরুল হক কমল।