Published : 14 May 2025, 08:59 PM
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে ‘চোর সন্দেহে’ বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চকসালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কয়ছর রশীদ জানান।
আহত অবস্থায় মারধরের শিকার কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়াকে (২৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আলমগীর মিয়ার চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, ১২ মে আলমগীর বাড়ির পাশের নয়াবাজার থেকে হারিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে তাকে কিছু লোক চোর ভেবে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে।
“এ সময় অনেকে তাকে প্রতিবন্ধী বলে চিহ্নিত করলেও মারধর বন্ধ করা হয়নি। সে তার বাড়ির ঠিকানা যতটুকু পারছে বলেছে, বাবার নাম, চাচার নাম বলেছে। পরে তার পরিচয় পেয়ে অটোরিকশায় করে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়।”
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে আলমগীর বাড়ি এসেছে। সে কোথায় গিয়েছিল কিছু বলতে পারছে না। শুধু বলছে, কারা জানি তাকে অনেক মেরেছে। সে নাকি না মারার জন্য অনেক অনুরোধ করছে, কিন্তু তারপরও তাকে মারা হয়েছে। আমরা মামলা করব।”
টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কয়ছর রশীদ বলেন, “আমি আসার আগেই লোকজন চোর সন্দেহ হয়ত পিটিয়েছে। আমার এলাকায় কিছু দিন আগে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য এলাকাবাসী চোর সন্দেহ করেছে। আমি এলাকায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ-খবর নিয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে বাড়িতে পাঠিয়েছি।”
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কনক কান্তি সিনহা বলেন, “আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আফছার বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।