Published : 26 Jun 2025, 09:28 PM
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পুকুরে পুকুরে একটি ‘কুমির’ ভাসছে এমন খবরে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। চার দিন পর বনবিভাগ জানিয়েছে, প্রাণীটি আসলে কুমির নয়, একটি বড় আকারের গুইসাপ।
বৃহস্পতিবার হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর কৈলাশ গ্রামের একটি পুকুরে জাল ফেলে তল্লাশি চালান বনবিভাগের লোকজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুমিরের সন্ধান না পেয়ে অভিযান সমাপ্ত করে ফিরে যান তারা।
পরে হাতিয়া বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, “প্রাণীটির একটি স্থিরচিত্র পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে সেটিকে রামগুই (গুইসাপ) বলে মনে হচ্ছে। স্থিরচিত্রটি প্রথমে দেখলে এত ঝামেলা হত না।
“বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পুকুরে কুমির সাদৃশ্য প্রাণী দেখা গেছে, আলো স্বল্পতার কারণে আমরা বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারিনি। এখন প্রাণীটি অন্য কোথায়ও চলে গেছে। এত বড় আকারের রামগুইও সচরাচর দেখা যায় না। এ কারণে বিষয়টি ঘোলাটে হয়েছে।”
বুধবার বিকালে কুমিরটি দেখতে পান বলে দাবি করেন বাড়ির গৃহবধূ নাহিদা আক্তার পান্না।
পুকুরের মালিক মো. মাসুদুল ইসলাম শরীফ বলেন, রোববার বিকালের দিকে গ্রামের বেলালের লাড়কির ঘরে প্রথমে প্রাণীটি দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় তারা প্রাণীটি হত্যা করতে চেষ্টা করে।
“বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্ত্রী নাহিদা আক্তার পান্না ঘরের পেছনের পুকুরে কুমির সাদৃশ্য প্রাণীটি ভাসতে দেখেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। উৎসুক জনতাও সেটিকে কুমির বলে উল্লেখ করে ফেইসবুকে ভিডিও ও ছবি পোস্ট করেন।”
তিনি বলেন, কিন্ত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পুকুরের চারদিকে হেঁটে এবং জাল ফেলে কিছুই দেখা যায়নি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “পুকুরে জাল ফেলে কুমিরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ওই প্রাণীটি রামগুই (গুইসাপ)।”