Published : 08 Jan 2025, 12:17 AM
অবাধে সেগুন গাছ লাগানোর ও বাঁশঝাড় কাটার কারণে সুবলং সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের ঝিরি-ঝর্ণা শুকিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার।
তিনি বলেছেন, “ঝিরি-ঝর্ণার পানি পাহাড়ের মানুষ ব্যবহার করে; এগুলাই ওয়াটারশেড। পাহাড়ের এই ঝিরি-ঝর্ণা, ছড়াগুলো আমাদের ট্রেডিশনের সঙ্গে জড়িত। এগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, আপনারা আর সেগুন গাছ লাগাইয়েন না, বাঁশ লাগান।”
মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অ্যানেক্স হলরুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, “সেগুন গাছে কোনো পাখি (বসে না) নেই, এই গাছের বড়-বড় পাতাও বিষাক্ত। এই সেগুন আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি, অকল্যাণ নিয়ে এসেছে।”
তিনি আরও বলেন, “কর্ণফুলী পেপার মিল শুরু হয়েছিল সাজেকের কাচালং, মাচালংয়ের বাঁশঝাড়কে দেখিয়ে, এখানে কাগজপত্র তৈরি করা হয়। পাহাড়ে এখন আগের মত আর বাঁশঝাড় নেই।
“পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণত বাঙালিরা মাটি কেটে ঘর করে, পাহাড়িরা বাঁশের চালা দিয়ে ঘর করে। এখন এই ট্রেডিশনগুলো আধুনিকতার কারণে উঠে যাচ্ছে।”
‘সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ প্রকল্পের’ জেলা কর্মকর্তা পলাশ খীসার সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়াও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাং শাহজাহান, লজিক প্রজেক্টের মনিটরিং স্পেশালিস্ট টিএম সেলিম প্রজেক্টের ক্লাইমেট চেঞ্জের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর আমেনা ইয়াসমিন, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট কো অর্ডিনেটর শাকিলা ইসলাম, ইয়ুথ অর্গানাইজেশার পপি ডাক্তার, সুজাতা চাকমা বক্তব্য দেন।
সভায় জলবায়ু পরিবর্তনরোধে স্থানীয়ভাবে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে যুবাদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।
এর আগে, সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে একটি র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।