Published : 13 Jun 2024, 03:16 PM
টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে ফের সিলেট নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় সিলেট অঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে নগরীতে সকাল থেকে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকে গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
সরেজমিনে নগরীর যতরপুর, সোবাহানীঘাট, উপশহর, মাছিমপুর ও তালতলা, জামতলা, বর্ণমালা পয়েন্টে এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
এ সব এলাকার রাস্তাঘাটে কোথাও-কোথাও হাঁটুসমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন নগরবাসী।
এর আগে ২ জুন রাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে সিলেট নগরীতে জলজটের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে ৮ জুন রাতে আবারও ভারী বৃষ্টিতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পরে ১০ জুন আবারও বৃষ্টিতে কিছু এলাকায় পানি জমেছিল।
নগরীর যতরপুরের বাসিন্দা আহমেদ হোসেন বলেন, “গতকাল রাতে যখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, তখনই চিন্তায় ছিলাম বাসায় পানি প্রবেশের বিষয়ে। তবে সকালের বৃষ্টি পাড়ার রাস্তাঘাট ও বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছিল। কয়েকদিন পর পর বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকার কারণে জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।
“এই অবস্থা থাকলে এখন থেকে বাসা বিক্রি করে দিতে হবে। পানির জমে থাকার কারণে এমনিতেই এই এলাকায় ভাড়াটিয়া আসতে চান না। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার দাবি জানাই।”
উপশহরের ডি ব্লকের-বাসিন্দা ইকবাল কবির বলেন, “বৃষ্টি হলেই বার-বার আমাদের পাড়ায় পানি উঠে। তাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। দ্রুত সুরমা নদী, নগরীর ছড়া ও খালগুলো পরিকল্পিতভাবে খননের দাবি করছি।’’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন,“সিলেটে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, সেজন্য এই অবস্থা। তবে বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। আর নগরীর ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নামছে একটু সময় লাগে। নগর যেন জলাবদ্ধ না হয়, সেজন্য আরও বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।”
আবহাওয়াবিদ সজীব বলেন, “সিলেটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়াও সিলেটে বর্তমানে বজ্রমেঘের অবস্থান রয়েছে। তাই সবাইকে বজ্রপাত থেকে সাবধান থাকতে হবে।’’
এদিকে, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৩৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।