Published : 23 Jun 2023, 11:54 PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে চলন্ত মিনিবাস থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গাড়ির কন্ডাক্টরকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রঙ্গিলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহিদুল ইসলাম (৬৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন (৫৫) আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় আটক মো. হৃদয় (১৯) গাড়িটির কন্ডাক্টর; তিনি ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ এলাকায় মো. সুমন মিয়ার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে নিহতের স্বজন কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে শহিদুল ইসলাম সস্ত্রীক এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে স্থানীয় মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় রঙ্গিলবাজার এলাকায় পৌঁছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় মাওনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি মিনি বাস শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাহেরা খাতুনকে ধাক্কা দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে থাকে।
নজরুল ইসলাম বলেন, এ সময় শহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে গাড়িতে ওঠেন এবং স্ত্রীকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয় নিয়ে চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করতে থাকেন। চালক মিনিবাসটি নিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে থাকেন।
“কিছুদূর যাওয়ার পর শহিদুল ইসলামকে চালকের হেল্পার গাড়ি থেকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। এ সময় শহিদুল ইসলামের পরনের লুঙ্গি গাড়ির দরজার পাশে একটি হুকের সাথে আটকে যায় এবং রাস্তার উপর ঝুলে থাকে। ওই অবস্থায় তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে বেশ কিছু পথ অতিক্রম করে গাড়িটি থেমে গিয়ে শহিদুল ইসলামকে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। এতে শহীদুল গুরুতর আহত হন।”
তিনি জানান, পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহত সাহেরা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসী কন্ডাক্টরসহ মিনি বাসটি আটক করেছে। তবে গাড়ির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।