Published : 30 Jan 2025, 04:26 PM
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন মৎস্যজীবী দলের এক নেতা।
মামলায় মৎস্যজীবী দলের চৌহালী উপজেলার সহ-সভাপতি ওসমান আলী অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লাকে তিন লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় তার বাড়ির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী ফরিদ আলম আলমগীর বলেন, গত ২১ জানুয়ারি চৌহালী আমলী আদালতে পিটিশন মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় জাহিদ মোল্লাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান এই আইনজীবী
মৎস্যজীবী দলের নেতা ওসমান আলী বলেন, “যমুনার ভাঙনে আমার পৈত্রিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের কুরকি পূর্বপাড়ায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া ২৭ শতক জমিতে বসতবাড়ি করে বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করছি।
“সম্প্রতি একটি টিনের ঘরের পাকা দেওয়াল নির্মাণ শুরু করলে ১ জানুয়ারি সকালে ২০-২৫ লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে প্রতিবেশী জাহিদ মোল্লা তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।”
ওসমান আরও বলেন, “চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় জাহিদ মোল্লা জোরপূর্বক তিনটি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত দেওয়াল নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। অমান্য করলে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি।
“এ অবস্থায় আদালতে মামলা করেছি। বিষয়টি জানার পর জাহিদ মোল্লা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। নিরাপত্তার অভাবে বর্তমানে অন্যত্র অবস্থান করছি, বাড়িতেও যেতে পারছি না। বাড়িতে পরিবারের লোকজন আতংকে বসবাস করছে।
“এছাড়া প্রায় ১ মাস যাবত কাজ বন্ধ থাকায় নির্মাণ সরঞ্জামও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, “আমি ওর কাছে কিসের চাঁদা চাইব। ও নিজেই তো ১০০-২০০ টাকা চাঁদা তুলে খায়।”
তিনি আরও দাবি করেন, “ওসমান আলী আদালতে মিথ্যা মামলা করে বাড়ি ছেড়ে এখন গাজীপুরে অবস্থান করছে। এই মিথ্যা মামলার কারণে এলাকার বহু লোকজন ক্ষেপে আছে, বাড়িতে এলেই ওসমানকে ধরবে।”
চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ক্বারী ময়নুল ইসলাম বলেন, “তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।”
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি একরামুল হোসাইন বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, “এ সংক্রান্ত আদেশের কপি এখনো আদালত থেকে ডিবি অফিসে এসে পৌঁছেনি। কপি পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”