Published : 01 Jun 2024, 11:06 PM
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাচনের সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহমদ আলী বিশ্বাস।
গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা বি এম মাহমুদ হক টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও পাটগাতী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লায়েক আলী বিশ্বাসের ছেলে।
তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোলায়মান বিশ্বাসের ছোট ভাই।
পরিদর্শক আহমদ আলী বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গত ৮ মে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ভোট হয়। নির্বাচন চলাকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মাসুদুল হকের সমর্থকরা গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপ-পরিদর্শক বদিয়ার রহমানের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তার মোটর সাইকেল ।
এছাড়া পাটগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পান্নার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছুড়ে।
এসব কারণে কিছুক্ষণ ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য বদিয়ার রহমান বাদী হয়ে পরদিন ৯ মে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্ত ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা মাহমুদ হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তারের পরে শনিবার মাহমুদ হককে শনিবার সকালে গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে এ ব্যাপারে মাহমুদ হকের ভাই এমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, “আমার ভাই নিরপরাধ। সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি আমার ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। ”