Published : 13 Apr 2025, 08:18 PM
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছোড়া গুলিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা বিদ্ধ হয়েছেন।
রোববার দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে মনোয়ারুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহীদ।
মনোয়ারুল ইসলাম দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও নওদাপাড়া গ্রামের প্রয়াত আবুল কালাম প্রামাণিকের ছেলে।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ওই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা বলেন, দাশুড়িয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ সুলভ মালিথার বাড়ির সামনে বসে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা করছিলেন।
বিপুলের অভিযোগ, “তখন পূর্ব শত্রুতার জেরে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন ও তার ভাই রকিবুল ইসলাম রকুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে পরপর কয়েকটি গুলিবর্ষণ করে।
“এতে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনোয়ারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন।”
আব্দুস সামাদ সুলভ মালিথা বলেন, “সম্প্রতি দুই অটোরিকশা চালকের মধ্যকার বিরোধকে কেন্দ্র করে ট্রাক পরিবহন শ্রমিক নেতা রকিবুল ইসলাম রকু দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লাকে মারধর করেন।
“সেই ঘটনার জেরে সম্প্রতি বিপুল মোল্লা তার লোকজন নিয়ে রকুর অফিস ভাঙচুর করেন।
“এ ঘটনার রেশ ধরে রকু ও রিপনের নেতৃত্বে রোববার দুপুরে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।”
“এ বিষয়ে দলীয় ফেরামে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন আব্দুস সামাদ সুলভ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকালে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের বড় ভাই ও স্থানীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকুর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দাশুড়িয়া গোলচত্বর সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদা আদায় করতে আসেন।
এ সময় চাঁদা না দেওয়া ও স্ট্যান্ড ছাড়তে রাজি না হওয়ায় দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
পরে বিপুল মোল্লার পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, আনিছুর ও মান্নান নামে কয়েকজন এগিয়ে গেলে তাদের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এতে বিপুল মোল্লাসহ তার অনুসারী কয়েকজন আহত হয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
বিপুল মোল্লা বলেন, “চাঁদা না দেওয়ায় প্রথমে আমাকে ও পড়ে অটোরিকশার দুই চালককে মারপিট করে রকু ও তার অনুসারীরা। তবে কারা রকুর অফিস ভাঙচুর করেছে আমি জানি না।”
তবে এ মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন বলেন, “বিকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানো নিয়ে আমার বড় ভাই রকু ও বিপুল মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি মীমাংসার জন্য তাদের আসতে বলি, অথচ বিপুলের লোকজন রাতে আমার ভাইয়ের অফিস ভাঙচুর করে।”
গুলির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
এ ঘটনায় বিপুল মোল্লা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান।
তিনি বলেন, “একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”