Published : 13 May 2019, 10:54 AM
মধুখালী উপজেলার জাহাপুর, বোয়ালমারীর কাদিরদী ও সদর উপজেলার চানপুর এলাকার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, বহু লিচু ফেটে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে। তাছাড়া লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিয়েছে।
জাহাপুর গ্রামের চাষি মো. রাশেদুল ইসলাম বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাগানে কীটনাশক, সার ও ওষুধ ব্যবহার করেও লিচু রক্ষা করা যাচ্ছে না।
বোয়ালমারীর কাদিরদী গ্রামের মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, “অন্য ফসলের চেয়ে লিচু চাষে বেশি লাভ হওয়ায় বেশি করে বাগান করেছি। তাছাড়া এ অঞ্চলে কৃষকের আয়ের অন্যতম উৎস লিচু। বেশ কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখলেও এবারে পুঁজি তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”
সদর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু জানান, পাঁচ-ছয় বছর ধরে তার এলাকায় অনেক লিচুবাগান গড়ে উঠেছে।
বিষয়টি তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগকে অবহিত করেছেন বলে জানান।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তি চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে লিচুর গায়ে কালো দাগ দেখা দিচ্ছে, ফেটে যাচ্ছে, ঝরে পড়ছে।
ফরিদপুরে এ বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ফরিদপুরে প্রতি হেক্টরে আট মেট্রিকটন লিচু উৎপাদিত হয়। এগুলো রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা কিনে নিয়ে যান ।