Published : 22 Nov 2019, 07:04 PM
জেলার শ্রীনগর থানার ওসি হেদায়েতুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “স্বাধীন পরিবহনের এই বাসটি বেপরোয়া গতিতে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করলে বরযাত্রীদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।”
শুক্রবার বেলা ২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরে এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে আটজন নিহত হন।
এছাড়া আহত হন আরও চারজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে আরও একজন মারা যান। অন্য তিনজনকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হতাহতরা সবাই আত্মীয়-স্বজন। তাদের বাড়ি লৌহজং উপজেলার কনকশার গ্রামে।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহতদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আব্দুল বাসেদ বলেন, “স্বাধীন পরিবহনের বেপরোয়া গতির বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের ওপরে গিয়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।”
দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। বাস ও মাইক্রোবাস পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন বরের বাবা আব্দুর রশীদ ব্যাপারি (৬০), বোন লিজা (২২), লিজার মেয়ে তাবাসসুম (৪), ভাবি রুনা আক্তার (২২), রুনার ছেলে তাহসিন (৩), তাদের প্রতিবেশী কেরামত আলী (৭০), মফিুজুল (৬০), মাইক্রোবাসের চালক বিল্লাল মিয়া (২৮) ও রুমা আক্তার নামে এক নারী।