Published : 27 Nov 2020, 07:34 PM
সরকারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তবে চুক্তিতে আসা এই ১৫০ মিল মালিক অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সদস্য কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে গত বুধবার অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি বগুড়ায় এক সভা থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে চাল সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
ওই দিনই নওগাঁয় এক মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে চাল দিতে মিলারদের বাধ্য করা হবে।
এবার মিলারদের প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩৭ টাকায় সরবরাহ করতে দাম বেঁধে দেয় সরকার।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম জানান, বগুড়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের লক্ষ্য রয়েছে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন। সরকার চাল সরবরাহের চুক্তির শেষ সময় দিয়েছিল ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। ১৭৬০ জন মিল মালিকের মধ্যে ১৫০ জন চুক্তি করেছেন। চুক্তিমতে তারা সাত হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করবেন।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আরও অনেক মিল মালিক চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী বলেন, বাংলাদেশে ১৮ হাজার চাল কল আছে। এরা প্রকৃত ব্যবসায়ী তাই লোকসান দিয়ে চুক্তি করবে না।
“তবে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রামের স্বল্প সংখ্যক মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি।”
এই ব্যাপারে জেলা মিল মালিক সামিতির সভাপতি আমিনুল হক বলেন, যারা চুক্তি করেছেন তারা অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সদস্য কিনা জানি না। খবর নিয়ে দেখতে হবে।