Published : 24 May 2025, 02:08 PM
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সীমান্তে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
যারা কাজের সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের হাতে আটক হয়েছিলেন বলে ভাষ্য বিজিবির।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বালাতাড়ী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ তাদের হস্তান্তর করে বলে জানান লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন।
ফেরত আসারা হলেন- ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়া সমন্বয়টারী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫), তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম (১৯), মা তানেকা বেগম (৪৬), দাসিয়ারছড়া কামালপুর গ্রামের আছর আলীর ছেলে মানব আলী (২৩), তার স্ত্রী রুমি বেগম (২০), একই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৩১), তার স্ত্রী সাথী বেগম (২৮), উপজেলার আরাজী নেওয়াশী গ্রামের কাজী উদ্দিনের ছেলে জায়দুল হক (৫৫), তার স্ত্রী আন্জুমা বেগম (৪৩), মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৯), জামাতা রবিউল (২২), উপজেলার ভাঙ্গামোড় বটতলা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে হাসান আলী (৩৫), তার স্ত্রী আলমিনা বেগম (২৯) এবং নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫০)। বাকিরা শিশু ও কিশোর।
বিজিবি জানায়, গোপন খবরে বিজিবি জানতে পারে সীমান্তে কিছু নাগরিককে বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করার জন্য বিএসএফ জড়ো করেছে। এ সময় অবৈধভাবে কোনো নাগরিককে ‘পুশইন’ না করার জন্য বিএসএফকে বার্তা পাঠায় বিজিবি।
বার্তায় বিএসএফকে জানানো হয়, সীমান্তে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশি নাগরিক হলে তাদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করার পর প্রচলিত নিয়মানুযায়ী গ্রহণ করা হবে। তবে যারা বাংলাদেশি নয় তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে বিএসএফ প্রাথমিকভাবে আটজন পুরুষ, আটজন শিশু ও আটজন নারীর তালিকা পাঠায়।
মেজর হাসনাইন বলেন, বিএসএফর পাঠানো তালিকা যাচাই-বাছাই করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়। এতে বিএসএফের পক্ষে ভারতীয়-৩ ব্যাটলিয়নের এসি এস এইচ এল সিমতি এবং বিজিবির পক্ষে মেজর হাসনাইন নেতৃত্ব দেন।
এ ছাড়া পতাকা বৈঠকে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, খলিশাকোঠাল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, বালাতাড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন এবং বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ২৪ নারী-পুরুষ ও শিশুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানান মেজর হাসনাইন।