Published : 26 Jun 2025, 04:23 PM
মাগুরা সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে মাগুরা জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী। পরে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী।
নিহত মিম খাতুন (২৩) শিবরামপুর গ্রামের শামীম শেখের স্ত্রী। শামীম পেশায় একজন অটোচালক। প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ে হওয়া এ দম্পতির চার বছর বয়সী একটি ছেলে আছে।
মিমের বড় ভাই রিজু শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শামীম যৌতুকের জন্য মিমকে চাপ দিতেন এবং মারধর করতেন। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ-বিচারও হয়েছে। কিন্তু এরপরও শামীম স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে যান।
রিজু শেখ আরও বলেন, এভাবে দফায় দফায় ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত যৌতুক নিয়েছেন শামীম। সর্বশেষ তিনি আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন, যা দিতে না পারায় মিমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বুধবার মারধরের পর মিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান শামীম। কিন্তু পরে তারা জানতে পারেন মিম মারা গেছে।
মিমের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন পরিবারটি এখন ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, এ ঘটনায় মিম খাতুনের বড় ভাই রিজু শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মাগুরা সদর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার পর ওই নারীর ফুফাতো শ্বশুর উজ্জল শেখকে আটক করা হয়েছে।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।