Published : 13 Jun 2025, 01:02 PM
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এ কারণে ঘাটে যাত্রীদের ভিড় ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকাগামী যানবাহনগুলো ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা পার হচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতে ছিল যানবাহন ও যাত্রীদের ভিড়। নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, “সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে যানজট বা ভোগান্তি নেই।”
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কথা হয় সাতক্ষীরা থেকে আসা সোলেমান মোল্লার সঙ্গে।
ঈদ ফিরতি যাত্রা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পরিবেশটা খুবই ভালো। ঈদের আগে ভোগান্তি ছাড়া বাড়িতে যেতে পেরেছি। ফেরার পথেও কোন ভোগান্তি নেই। সরাসরি ফেরিতে উঠতে পেরেছি।”
মাগুড়া থেকে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, “পদ্মা সেতু চালুর আগে ঈদের সময়টায় ঘাটে তো প্রচুর ভোগান্তি হতো। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো। এখন এতটা স্বস্তি এই নৌপথে সেটা বলার মত না। আমরা খুবই খুশি এমন পরিবেশে।”
কুষ্টিয়া থেকে আসা হানিফ পরিবহনের যাত্রী মাসুদ রানা বলছিলেন, “ফেরি ঘাট এলাকায় এসে ভাবছিলাম, পদ্মা সেতুর আগে এই সময় কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার জ্যাম লেগে থাকতো। ফেরিতে নদী পার হতেই সাত থেকে আট ঘণ্টা লেগে যেতো। অথচ সেতু চালুর পর কোন ভোগান্তি নেই। আসার সাথে সাথেই ফেরিতে উঠতে পারছি।”
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ঈদ ফিরতি যাত্রায় শুক্রবার এবং শনিবার এ পথে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়বে। তবে আশা করছি, ভোগান্তি হবে না।
এ নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।