Published : 13 Oct 2024, 01:31 PM
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কেউ হতাহত হননি।
রোববার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় স্টোররুমে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে তাদের ৯টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৫০-৬০ জন রোগীকে উদ্ধার করেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা নেই।
মিজানুর আরও বলেন, “স্টোররুমে একটি বৈদ্যুতিক বোর্ড রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি সেই বোর্ডে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে নিশ্চিত বলতে পারবো।”
তিনি বলেন, “স্টোর রুমে গজ, তুলা, ফোমের বিছানা থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও ব্যাপক ধোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।”
আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরুপন করার কাজ চলছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে ভবনটির পিছনে একটি বৈদ্যুতিক ক্যাবলে আগুন লাগে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন স্টোর রুমে সংরক্ষণ করা তুলায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুরো মেডিসিন ভবন জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে যেভাবে পারে, রোগীদের উদ্ধার করেছে।
এদিকে হাসপাতালের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র অচল থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ।
রোগীর স্বজন মোশারেফ বলেন, “গোডাউনের মধ্যে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো মেডিসিন ভবন। তখন বাধ্য হয়ে রোগীকে বাইরে নিয়ে এসেছি। দৌঁড়াদৌঁড়ির কারণে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।”
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, ভবনটিতে মেডিসিন বিভাগের পাঁচটি ওয়ার্ডের ১০টি ইউনিট ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডের রোগীরা ছিলেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৭০ জন ডেঙ্গু রোগীসহ ৫৪৩ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ভবনটিতে। এছাড়া রোগীদের স্বজন, নার্স, চিকিৎসক, স্টাফরাও সেখানে ছিলেন।
উপ-পরিচালক আরও বলেন, মেডিসিন ভবনের রোগীদের পুরাতন ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি সেখানে ব্যস্ত রয়েছেন।