Published : 06 Feb 2023, 09:25 PM
বরিশালে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সামনে নার্সিং শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী ইফাদ সেরনিয়াবাত হাসপাতালের চুক্তিভিত্তক কর্মচারী (আউটসোর্সিং) হিসেবে মেডিসিন ওয়ার্ডের বহিঃবিভাগের চিকিৎসক তিলোত্তমা শারমিনের অ্যাটেনডেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী সকালে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের অ্যাটেনডেন্ট ইফাদ সেরনিয়াবাত সেই সময় এই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
পরে ওই ছাত্রীর আইডি কার্ডের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। এই ঘটনার বিচার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ হাপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, চিকিৎসা নিতে মেডিসিন বিভাগে গেলে সেখানে থাকা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইফাত খারাপ আচরণ করে এবং গায়ে হাত দেন।
“তিনি আমার আইডি কার্ডের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এমনকি এই ঘটনার পরে আমি ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে আসার সময় বাজে মন্তব্য করেন।“
চিকিৎসক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, নার্সিং কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে ইফাদ অশোভন আচরণ করেছেন বলে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। এরপর শিক্ষার্থীদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ডেকে ইফাদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তখনি তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
“ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। প্রতিবেদন ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তদন্ত কমিটির প্রধান হচ্ছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন। আর সদস্যসচিব হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মানবেন্দ্র সরকার ও সদস্য সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. নুরুন্নবী তুহিন।