Published : 03 Apr 2024, 06:17 PM
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ভল্ট সুরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত দল-সিআইডি।
বুধবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে তদন্তে আসা সিআইডির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিআইডির চট্টগ্রাম রেঞ্জের কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, কক্সবাজার থেকে ক্রাইম সিনের দুটি তদন্ত দল এসে ব্যাংকের সব আলামত সংগ্রহ করেছে। ভল্টের সব টাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
“এখানে ভল্টে যে টাকা রাখা হয়েছে- মোট ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ভল্টে সব টাকাই আছে। ভল্ট ভাঙ্গতে পারেনি। অক্ষতই আছে। একটা ভল্টে দুটো চাবি ছিল।”
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালায় এবং লুট করে। তারা কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পকেট ও ড্রয়ারে থাকা টাকা নিয়ে যায়। এ সময় শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বুধবার পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
এ ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংক ডাকাতির পর বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি ব্যাংকের পাশাপাশি পাশের মসজিদও পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে রুমা ব্যাংক লুটের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকেও লুটের ঘটনা ঘটে।
থানচি শাখার কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার হ্লা সুই থোয়াই মারমা জানান, তার শাখা ব্যাংক থেকে মোট আড়াই লাখ টাকা খোয়া গেছে।
তাছাড়া সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে ১৫ লাখ খোয়া গেছে বলে জানিয়েছে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন।
আরও পড়ুন:
ব্যাংক ম্যানেজার নেজামকে তারাবির নামাজ থেকে তুলে নিয়ে যায় সশস্ত্ররা
ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা: আইজিপি
এবার ভরদুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতি
রুমায় ব্যাংক লুট: সন্ধান মেলেনি ‘অপহৃত’ ব্যবস্থাপকের