Published : 28 Jan 2023, 03:25 PM
পাঁচ বছর পর রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রাজশাহী।
দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রধানের আগমন উপলক্ষে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাজশাহীজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে সেজেছে গোটা নগর।
রোববার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
এ ছাড়া ৩৭৬ কোটি টাকার আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সরকারপ্রধান। এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চল, কৃষি ও আইটি বিশ্ববিদ্যালয় চায় রাজশাহীবাসী।
রাজশাহীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা বলেন, “না চাইতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চলটা আমরা চাই; এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চাই। আরেকটা জিনিস চাই, সেটা হল হাটিকুমরুল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ফোর লেন সড়ক।“
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছিল রাজশাহীবাসী। তা তিনি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজশাহী শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত। এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। শিক্ষানগরী হিসেবে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে রাজশাহীতে এখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই দাবি তুলতে চাই।
জনসভার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মাদ্রাসা মাঠ ছাড়াও তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
তিনি বলেন, “এলইডি টিভি দিয়েছি বিভিন্ন পয়েন্টে, প্রায় ১৩০টি মাইক দিয়েছি। সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর মোড় ও সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকেও জনসভার ভাষণ শোনা ও এলইডিতে দেখা যাবে।”
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা আশা করছি, যদিও মাদ্রাসা মাঠে জনসভার স্থল কিন্তু পুরো রাজশাহীতেই সেদিন হবে জনসভা।”
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা শুনতে চান এ অঞ্চলের মানুষ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার কর্মসূচিভিত্তিক ভাষণ দেবেন।”
মেয়র লিটন আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলেন তা হয়ে গেছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছেন তরুণদের নিয়ে, সেটাও ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে। এই জনসভায় দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দেশবাসীকে এক গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিবেন বলে আমরা আশা করছি।’’
জনসভার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করবেন।