Published : 01 Mar 2025, 06:26 PM
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় একটি হোটেল ও মুদি দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগে তিন শিক্ষার্থীকে আটকের পর জরিমানা করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সকালে নাটোর-বনপাড়া মহাসড়কের তাড়াশ উপজেলার খালকুলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের জানান।
তিন শিক্ষার্থী হলেন- নাটোর সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), মল্লিকহাটি গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫) এবং উপর বাজার এলাকার সেলিম রেজার ছেলে রেজা রাব্বানী হাবিব (২৪)।
পরিদর্শক নাজমুল কাদের বলেন, “উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে মুচলেকা রেখে তিন সমন্বয়ক ছেড়ে দেওয়া হয়।
“ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মীমাংসা বৈঠকে উভয় পক্ষের লোকজনসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।”
ভুক্তভোগী ‘আশা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’ মালিক আলী আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, “শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় নতুন দলের আত্বপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নাটোর থেকে আসা ছাত্র-জনতার তিনটি বাস হোটেলের সামনে থামে। এসময় কেক কেনা নিয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে দোকান কর্মচারীর তর্ক-বিতর্ক হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।
“কিন্তু ঢাকা থেকে ফেরার পথে শনিবার সকালে নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীরা হোটেলে ঢুকে ভাঙচুর করে। বাধা দিলে আমাকে ও কর্মচারীকে মারধর করা হয়।”
দোকান মালিক বলেন, “আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তিন সমন্বয়ককে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।”