Published : 13 Jun 2025, 04:32 PM
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া আরেক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে মাতামুহুরি নদীর তীর থেকে ক্রিসতং পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তখন পুলিশ দাবি করেছিল, আরও দুজন পর্যটক নিখোঁজ আছেন।
পরে শুক্রবার সকালে স্মৃতি ইসলাম নামে এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ট্যুর গ্রুপের সহ-সমন্বয়ক মো. হাসান চৌধুরী।
এসআই শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকালে আমতলী নৌঘাট এলাকায় লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এসআই শাহাদাৎ আরও বলেন, “স্মৃতি ইসলামের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তবে তিনি কুমিল্লায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করে শুনলাম। তবে এখনও নিশ্চিত না।
“তার গ্রামের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। লাশ বুঝে নিতে আত্মীয়স্বজনরা আলীকদমের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। তারা এখনও গাড়িতে, পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।”
প্রাথমিক তদন্ত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসাপাতালে পাঠানো হবে। এরপর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নাম না প্রকাশের শর্তে আলীকদম উপজেলার কয়েকজন গাইড জানান, ৯ জুন ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামে ৩৩ জনের একটি পর্যটক দল দুজন গাইড নিয়ে থানচি-আলীকদমের মাঝখানে ক্রিসতং পাহাড় ও থানচির সাকাহাফং পাহাড় বেড়াতে যায়।
দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষা ইসলাম নামে এক নারী ট্যুর অপারেটর। সহ-সমন্বয়ক ছিলেন হাসান চৌধুরী। দলটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাত্রা করে- একটিতে ২২ জন, অন্যটিতে ১১জন সদস্য ছিল।
২২ সদস্যের দলটি পাহাড়ি ঝিরি পার হবার সময় দলের তিনজন- দুই পর্যটক এবং একজন ট্যুর অপারেটর প্রবল স্রোতে ভেসে যান। তার মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।