Published : 29 Nov 2024, 09:45 PM
রংপুর নগরীর একটি মাদরাসা থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে ১০ বছরের ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
“সন্দেহভাজন হিসেবে শিক্ষক আব্দুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খুব শিগগিরই প্রকৃত ঘটনার সত্যতা উন্মোচন হবে।”
শুক্রবার ওসি বলেন, “প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ ও সিআইডি বিষয়টি তদন্ত করছে।”
নিহত শিশুর পরিবার ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বরাতে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ পরবর্তীতে ক্লাস শুরুর পর ওই শিশুকে দেখতে না পেয়ে সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে মাদরাসার এক শিক্ষক তাকে সদ্যনির্মিত একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির বাবা বলছিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের সঙ্গে তার মোবাইলে কথা হয়েছিল। সে শুক্রবার সকালে বাড়িতে ফেরার কথা বলেছিল। সেজন্য তার মা মাংস কিনে রেখেছিলেন।
“অথচ এখন সে বাড়ির পরিবর্তে মেডিকেলের মর্গে। আমার অবুঝ সন্তানকে যারা হত্যা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।”
শিশুটির চাচা আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদরাসা থেকে কল দিয়ে জানানো হয় আমার ভাতিজা অসুস্থ। পরে মাদরাসায় গিয়ে শুনি ভাতিজা মারা গেছে।
“বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। সে আমাদের আদরের সন্তান। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে বড় ছিল।”