Published : 29 Jul 2024, 09:31 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় অগ্নিসংযোগ ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত আঞ্চলিক কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন।
সোমবার দুপুরে তিনি নগর ভবনে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বিভিন্ন যানবাহন ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
এ সময় তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নান, পুলিশের উপ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খানসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, ২০ জুলাই করপোরেশনের টঙ্গী ও গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে থাকা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ছয়টি গাড়ি, ময়লা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত দুটি হুইল লোডার, রোলারসহ ১৪টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়, ভাঙচুর করা হয় আরো আটটি যানবাহন।
একইদিন দুর্বৃত্তরা গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ে এবং মেয়র জায়েদা খাতুনের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এছাড়াও দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভবনের সামনে থাকা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ এবং টঙ্গীর ডেসকো বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের মালামাল পুড়িয়ে দেয়।
ঘটনা তদন্তে তিন কমিটি
গাজীপুর মহানগর এলাকায় ভাঙচুর ও নাশকতার ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নান জানান, ২৪ জুলাই তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর মধ্যে টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয় ও গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে দুটি কমিটি করা হয়েছে।
তিন সদস্য করে গঠিত এ দুটি কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরেকটি কমিটি করা হয়েছে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করতে।
৯ সদস্যের এ কমিটির প্রধান হলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা নমিতা দে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, পরিদর্শনের সময় মেয়র বলেন, “আমি ক্ষতিগ্রস্ত নগর ভবন পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
“আন্দোলনকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন। তার জন্য ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।”
১৯ জুলাই ঢাকায় আওয়ামী লীগের সভায় যাওয়ার পথে উত্তরা এলাকায় কোটা নিয়ে আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরসহ তাণ্ডব চালায় নাশকতাকারীরা।
তাদের হামলায় আহত জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর আহত হন; পিটিয়ে হত্যা করা হয় তার সহযোগী জুয়েল মোল্লাকে। জাহাঙ্গীর আলম চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।