নোয়াখালীতে বাজারের প্রহরীকে হত্যা করে ‘বিপুল’ স্বর্ণ লুট

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বাজারের নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিপুল স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কবিরহাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

নিহত নৈশপ্রহরী শহীদ উল্যাহ (৫০) উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল পিকআপ ভ্যান নিয়ে ওই বাজারে যায়।

এ সময় নৈশপ্রহরী শহীদ উল্যাহ বাধা দিলে তাকে মারধর করে ডাকাতরা। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ডাকাতদল অন্য তিন নৈশপ্রহরীকে চোখ, মুখ হাত বেধে ফেলে রাখে।

পরে তারা মা-মণি জুয়েলার্সের সিন্দুক ভেঙে ১৫০ থেকে ১৮০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। পরে পাশের নূর জুয়েলার্স থেকে আরও তিন ভরি সোনা লুট করে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।

তবে ডাকাতরা দোকান দুটি থেকে আরও বেশি সোনা লুট করেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

মা-মণি জুয়েলার্সের মালিক ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিন্টু চন্দ্র নাথ জানান, ৪০-৫০ জনের ডাকাত দল গ্রিল কেটে মা-মণি জুয়েলার্সে ডাকাতি করে।

“ডাকাত দল মা-মণি জুয়েলার্সের লকার, আলমারি কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণ, ১৫০ ভরি রুপা ও নগদ প্রায় তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছে।”

আর মেসার্স নূর জুয়েলার্সের মালিক নূর আলম বলেন, “একই সময়ে আমার দোকান থেকে সাত ভরি স্বর্ণ, আড়াইশ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে গেছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা আশ্রাফ হোসেন রবেন্স বলেন, “ডাকাতির সময় বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করতে চেষ্টা করেন নৈশ প্রহরী শহীদ উল্যাহ। ডাকাত দল তার মাথায় আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।”

কবিরহাট থানা ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।