Published : 27 Aug 2023, 12:36 PM
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের গাছের গুঁড়ির আঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান, ছয় দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধী থেকে শনিবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো. সেলিম (৫০) উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এদিকে বড় ভাই মারা যাওয়ার খবরে ছোট ভাই শাহ আলম তার পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সেলিম ও শাহ আলম প্রবাসে থাকা অবস্থায় গ্রামে ৬ শতক জায়গার উপর একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন। এক পর্যায়ে বিদেশে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সেলিম বাড়ি ফিরে আসেন; এসে চাষাবাদ শুরু করেন।
শাহ আলম সম্প্রতি প্রবাস থেকে বাড়ি এসে বড় ভাইকে বাড়ির ভাগ দিতে বলেন।
এ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বাড়ির বর্ধিত অংশে তিন শতক জায়গা সেলিম তার ছোট ভাই শাহ আলমকে দেবেন বলে ঠিক হয়। অপরদিকে, শাহ আলম বাড়ির পেছনের দিকে ১০ শতক জমি সেলিমকে দেবেন।
স্থানীয়রা জানান, এভাবে মীমাংসার পর সেলিম মূল্য কম হওয়ার কথা বলে বাড়ির পেছনের জমি না নিয়ে সামনের রাস্তার পাশের ১০ শতক জমিতে চাষ দিতে থাকেন।
গত ২১ অগাস্ট শাহ আলম এই জমি চাষে বড় ভাইকে বাধা দিলে ঝগড়া বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে শাহ আলম পাশে থাকা গাছের গুঁড়ি দিয়ে সেলিমের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে আলমের স্ত্রী শিল্পী, মেয়ে সালমা ও ছেলে আরাফাত ফের লাঠি দিয়ে সেলিমকে বেধড়ক পিটিয়ে অজ্ঞান করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন বলে থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
নিহতের জামাতা মো. গিয়াস উদ্দিন রনি বলেন, হামলার পর তার আহত শ্বশুরকে উদ্ধার করে প্রথমে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।
ঘটনার ৬ দিন পর শনিবার বিকালে সেলিম মারা যান।
ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, ঘটনার পর সেলিমের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। এখন যেহেতু তার মৃত্যু হয়েছে, সেহেতু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর তা যুক্ত করে অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
ওসি আরও বলেন, সেলিমের মৃত্যুর খবরে আসামিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।