Published : 05 Nov 2023, 04:53 PM
কক্সবাজারে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও গুলিসহ সাত ডাকাতকে’ আটক করেছে র্যাব।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
ভোরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানায় র্যাব।
আটকরা হলেন- কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার মো. মঞ্জুর আলম ওরফে মঞ্জু (৩৮), চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ছনুয়া এলাকার মো. বাহার উদ্দিন বাহার ওরফে মাহবুব (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কালুয়ার ডেইল এলাকার মকছুদ আলম (৩২), পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়ার মো. তোফায়েল (২১), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পূর্ব মোহাজের পাড়ার মো. দিদার (৩০), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার মাদ্রাসা ইউনিয়নের উত্তর মাদ্রাসা এলাকার ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং কক্সবাজার শহরের উত্তর কুতুবদিয়াপাড়ার মোহাম্মদ রাশেদ (২৭)।
র্যাবের দাবি, আটকদের মধ্যে মঞ্জু একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার নিজের নামে বাহিনী রয়েছে। তার নামে কক্সবাজার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় নয়টির বেশি মামলা আছে।
এ ছাড়া আটক অন্যদের বিরুদ্ধেও সাগরে দস্যুতাসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা আছে বলে জানায় র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভোরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে একদল সশস্ত্র লোক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার খবরে র্যাব সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১২ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ধাওয়া দিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়।
পরে আটকদের কাছ থেকে ও ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে তিনটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, সাতটি গুলি, দুটি কিরিচ, দুটি চাকু, দুটি টর্চলাইট ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।”
র্যাব ব্যাটালিয়নের এ অধিনায়কের দাবি, “আটকদের মধ্যে মঞ্জুর আলম ডাকাত দলের মূল হোতা।”
আটকদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় আবারও মামলা হয়েছে বলে জানান এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]