Published : 19 Dec 2023, 11:12 PM
মরদেহের পাশে পাওয়া বোতামের সূত্র ধরে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রী হত্যায় জড়িতদের শনাক্তের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার গ্রেপ্তার তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ফেনীর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাছলিম হুসাইন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর বারাহি গোবিন্দ গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল আউয়াল সাদ্দাম (৩৫), ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে ইয়াব হোসেন শুভ (২০) ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচুর গ্রামের মঈন উদ্দীনের ছেলে মোবারক হোসেন (২০)।
নিহত পারুল আক্তার (৫৩) উপজেলার উত্তর বারাহিগুণি গ্রামের ছেরাজ মিয়ার বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী আতাউর রহমান আত্তপ মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের পরিবারের বরাতে এএসপি বলেন, বুধবার মোবারককে বাড়ির কাজ করার জন্য ডাকেন পারুল। পরে রাত ১০টার দিকে ঘরের মেঝেতে পারুলের মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় মরদেহের পাশে শার্টের দুটি বোতাম পাওয়া যায়। সেই বোতামের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন গৃহবধূর ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান তন্ময় দাগনভূঞা থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে মোবারককে বারাহিগোবিন্দ দরবার শরীফের পাশের চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাতে উত্তর বারাহিগোবিন্দ এলাকা থেকে সাদ্দামকে এবং ফেনীর মাথিয়ারা এলাকা থেকে শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে এএসপি তাছলিম বলেন, “পূর্ব পরিচয়ের সুযোগে মোবারক ঘটনার দিন তার অন্য দুই সহযোগীকে নিয়ে ওই বাড়িতে ডাকাতি করতে যান। সেখানে তাদের চিনে ফেলায় পারুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তারা।
“তবে তাদের হাত থেকে বাঁচতে ধস্তাধস্তি করেন পারুল। এ সময় মোবারকের হাতে কামড় দেন তিনি। পরে যে চিহ্ন মোবারকের হাতে পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা শার্টের দুটি বোতামের সঙ্গে মোবারকের বোতামের মিল পাওয়া গেছে।”
দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাশিম বলেন, “আসামিরা ওই নারীকে হত্যা করতে চাননি। ডাকাতির এক পর্যায়ে ওই নারী মোবাইল ফোনে ভিডিও করার চেষ্টা করলে তাকে হত্যা করা হয়।”
মঙ্গলবার সাদ্দাম ও শুভকে আদালতে তুলে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন এএসপি তাছলিম।
আরও পড়ুন: