Published : 03 Apr 2023, 06:07 PM
ছেলে বাবার চেয়ে বয়সে ৪ বছর আর মায়ের চেয়ে ১৪ বছরের বড়। জন্মনিবন্ধন সনদে বয়সের এমন ভুল তথ্য থাকায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার এক কলেজ ছাত্র।
ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার উপজেলার করমজা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুণ্ডুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আজমত আলীর ছেলে। বাবা-মার সঙ্গে বয়সের এমন পার্থক্যের কারণে ভোটার হতে পারছেন না তিনি।
আব্দুস সাত্তারের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধন সংশোধনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেও তিনি কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না। এতে করে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্রে আব্দুস সাত্তারের বাবার জন্ম তারিখ রয়েছে ১৯৫৭ সালের ৮ জানুয়ারি। আর মায়ের রয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭। তবে আব্দুস সাত্তারের জন্মনিবন্ধন সনদে জন্মতারিখ রয়েছে ১৯৫২ সালের ৫ অক্টোবর।
সেই হিসাবে বাবার চেয়ে ৪ বছরের বড় এবং মায়ের চেয়ে ১৪ বছরের বড় আব্দুস সাত্তার। অথচ প্রকৃতপক্ষে আব্দুস সাত্তারের জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষা সনদে বয়স রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ২০০৪। সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ১৮ বছর তিন মাস।
ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার বলেন, “গত বছর ভোটার তালিকার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে এলে, তাদের কাছে আমার সকল কাগজপত্র দেই। যেদিন ছবি তোলার জন্য ডাকা হয়; সেদিন আমারটা বাতিল করা হয় এবং বয়স সংশোধন করে নতুন করে আবেদন করতে বলেন তারা।
“এই ভুল সংশোধন করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও বয়স কোনোভাবেই সংশোধন হচ্ছে না। ভবিষ্যতে চাকরিসহ সব বিষয় নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।”
করমজা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল মতিন বলেন, “জন্মনিবন্ধনের এরকম জটিলতা বহু মানুষের রয়েছে। অনেকের সংশোধনও করা হয়েছে।
“তবে জন্মনিবন্ধনের সার্ভার থেকে বয়স সংশোধনের অপশনটা তুলে দেওয়ায় আর সম্ভব হচ্ছে না। আবার যদি সার্ভারে বয়স সংশোধনের অপশন আসে, তখন সংশোধন করা যাবে।”
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমি জানতাম না। ওই কলেজ ছাত্র তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি সমাধানের জন্য সহযোগিতা করব।”