Published : 10 Jan 2024, 03:27 PM
পৌষের শেষে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় লালমনিরহাটের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
বিশেষ করে চরাঞ্চল এবং নদীর তীরবর্তী লোকালয়ের মানুষের জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
বুধবার সকাল ৮টায় জেলার তাপমাত্রার পারদ ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র ।
সারা দিনেই সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, লোকালয়।
সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা সাধারণ মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা তিস্তার প্রত্যন্ত চরের আজিজুল ইসলাম (৬০)।
তিনি বলেন, “ঠান্ডায় আর জীবন চলে না বাহে! ঠান্ডার কারণে ঘরে বাইরে জমির কাজও ঠিক মত করতে পারছি না। তামাক ক্ষেতে পানি দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই ঠান্ডার কারণে কি করি বুঝতে পারছি না।”
লালমনিরহাট ট্রাক স্ট্যান্ডে কথা হয় ট্রাক ড্রাইভার আরশাদ আলী। তিনি বলেন, “ঘন কুয়াশার কারণে রাতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না, এমনকি দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।”
শহরের মিশন মোড়ে রিকশাচালক মফিজার মিয়া বলেন, “রিকশার হাতলে হাত রাখা যায় না, হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়। খুব কষ্টে একবেলা রিকশা চালাচ্ছি।”
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র্র বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে জেলার তাপমাত্রা আরও কমে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ঠান্ডায় জেলায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।