Published : 21 Jun 2023, 07:08 PM
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহে এক কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শাহনেয়াজ ফিরোজ এই অভিযোগ করেন।
তবে বিরামপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের (এলএসডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কৃষক শাহনেয়াজ ফিরোজ অভিযোগ করেন, লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত তালিকায় ৫৮৩ নম্বরে তার নাম আছে। ১৫ মে তিনি চরকাই খাদ্য গুদামে এক টন ধান নিয়ে গেলে মাজেদুল ইসলাম নানা ‘টালবাহানা’ করেন। এক পর্যায়ে ধানে চিটা ও আর্দ্রতা বেশি আছে বলে ফেরত দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ৮ জুন চিটামুক্ত ও আর্দ্রতামুক্ত করে ধান নিলে প্রথমে ‘টালবাহানা’ করতে থাকেন ওই কর্মকর্তা।
“এক পর্যায়ে গুদামের নৈশ প্রহরী আহমেদ আলী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী জিল্লুরকে চা খাওয়ানোর (উৎকোচ) টাকা দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। পরে টাকা দিলে ধান নেন তারা।”
কৃষক শাহনেয়াজের ভাষ্য মতে, ধানের বিল নিতে গেলে মাজেদুলের কথা বলে আবার টাকা দাবি করেন গুদামের বিল শাখার এক কর্মকর্তা । টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ছিঁড়ে ফেলে তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তিনি রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এমন কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে চরকাই এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, “শাহনেয়াজ নিজেই বিল জমা দেননি এবং কোনো কৃষককে ধান সংগ্রহে হয়রানি করা হয়নি।”
একইভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান কৃষক আকরাম হোসেন, মোস্তাফিজুর, ওবায়দুল ও রবিউল।
ধান দিতে চা খাওয়ার নামে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেন তারা।