Published : 13 Apr 2023, 09:35 PM
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চুরিকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকে বিষ পানের তিনদিন পর এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুজাউদৌল্লা।
মৃত আব্দুল হামিদ (৬৫) বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা। পেশায় তিনি রিকশাভ্যান চালক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলামের গাছ থেকে সুপারি চুরির ঘটনা ঘটে। ওই গাছের নিচে এক জোড়া স্যান্ডেল দেখে একই গ্রামের এনামুল হকের ছেলে পায়েলকে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহ করেন নুরুল।
এরপর প্রতিবেশী আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে পায়েলের বাড়ি যান নুরুল। সেখানে পায়েলসহ তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রতিবেশী আব্দুল হামিদ এসে পায়েলের পক্ষ নিয়ে নুরুল ও কালামকে বকাঝকা করেন।
পরে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন। তিনি ওই গ্রামের এমদাদুল হক ও ছফিয়ার রহমানকে বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব দেন। ৯ এপ্রিল সালিশ বৈঠক ডাকা হয়।
সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের চাপের মধ্যেও হামিদ তাতে অস্বীকৃতি জানান এবং এক পর্যায়ে তিনি বিষ পান করেন।
তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুজাউদৌল্লা বলেন, “বিষয়টি আমি নিজেই মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। পরে আব্দুল হামিদ উপস্থিত না হওয়ায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেই। সেখানে বিষয়টি মীমাংসাও হয়।
“কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে ‘হাতমিল’ করে দেওয়ার সময় হামিদ তাতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর সেখানে উপস্থিত লোকজনের সামনেই বিষপান করেন।”
তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযাগ করা হয়নি। স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক রাজীব কুমার রায় বলেন, বিষ পানের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।