Published : 28 Jul 2022, 05:30 PM
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের প্রথম কীর্তি গড়া মারিও জাগালো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছেন এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
৯০ বছর বয়সী জাগালোকে মঙ্গলবার রিও দে জেনেইরোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানায়।
তবে জাগালো এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো রকম যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্বাস নিতে পারছেন জাগালো।
তার কোভিড-১৯ পরীক্ষাও করা হয়েছিল। তবে ফল নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আগামী মাসে ৯১ বছর পূর্ণ হবে জাগালোর। ব্রাজিলে ‘বুড়ো নেকড়ে’ বলে পরিচিত এই ফুটবল কিংবদন্তি এই বয়সেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। ইন্সটাগ্রামে নিয়মিতই ক্যারিয়ারের স্মৃতিময় ছবি, সুভ্যেনির পোস্ট করেন তিনি। চার দিন আগেও তিনি সেলুনে চুল-দাঁড়ি কাটানোর একটি ছবি পোস্ট করেন।
ফরোয়ার্ড হিসেবে ব্রাজিল দলে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত খেলেন জাগালো। পেলের সঙ্গে জেতেন ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপ। এরপর ১৯৭০ সালে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পান তিনি।
ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী দলেরও অংশ ছিলেন জাগালো। সেবার তিনি সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফের প্রধান কোচের ভূমিকায় ছিলেন। সেবার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে রানার্সআপ হয় ব্রাজিল।
জাগালো ছাড়া খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি আছে আর কেবল ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও দিদিয়ে দেশমের। বেকেনবাওয়ার ১৯৭৪ সালে ওই সময়ের পশ্চিম জার্মানিকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ১৯৯০ আসরে কোচ হিসেবে শিরোপাটি জেতেন।
আর দেশম ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী দলের নেতৃত্বে ছিলেন। এরপর ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতেন তিনি কোচ হিসেবে।
জাগালোর কোচিংয়ে ১৯৭০ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিল ব্রাজিল। সেই দলে ছিলেন পেলেও। সাবেক সতীর্থের সুস্থতা কামনা করে ইন্সটাগ্রামে বার্তা দিয়েছেন একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা পেলে।
“আমার বন্ধু জাগালো, জানি তুমি কঠিন সময় পার করছো। কিন্তু এটা জেনে রাখো, তোমার দ্রুত সুস্থতার জন্য আমি প্রার্থনা করছি।”
৮১ বছর বয়সী পেলেও গত কয়েক বছর ধরে নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। কোলন ক্যানসারের চিকিৎসা ও কিডনির পাথর অপসারণে একাধিকবার তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে।
২০১৪ সালে মূত্রনালীর সংক্রমণে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নিতে হয়েছিল। নিতম্বে অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না।